নবান্ন স্কলারশিপ কী? কত টাকা দেওয়া হয়, জেনে নাও
(Nabanna Scholarship 2025)
নবান্ন স্কলারশিপ' ২০২৫: (Nabanna Scholarship 2025) পশ্চিমবঙ্গ সরকার আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ একটি বৃত্তির (Scholarship) ব্যবস্থা করেছে । যার নাম নবান্ন স্কলারশিপ।
যে পড়ুয়ারা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে আবেদন জানাতে পারেন না, তাঁদের জন্যই রয়েছে ‘নবান্ন স্কলারশিপ’। যে সমস্ত পড়ুয়ার স্কলারশিপ অ্যাপ্লিকেশন অ্যাপ্রুভড হবে, তাঁরা ১০ হাজার টাকার বৃত্তি পাবেন। কোনও মেধাবী পড়ুয়ার শিক্ষালাভে যাতে অর্থনৈতিক অবস্থা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে সেইজন্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই প্রকল্পটি চালু করেছে ।
যে সব পড়ুয়া অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে আসেন এবং যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য ইচ্ছুক তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন
☑️ নবান্ন স্কলারশিপ কী?
অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ অনুদানের ব্যবস্থা চালু করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ওই প্রকল্পটির মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার জন্য পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ স্কলারশিপ দেওয়া হয়। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে নবান্ন স্কলারশিপ স্কিম ২০২৫-২০২৬।
☑️ নবান্ন স্কলারশিপ কী?
অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ অনুদানের ব্যবস্থা চালু করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ওই প্রকল্পটির মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার জন্য পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ স্কলারশিপ দেওয়া হয়। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে নবান্ন স্কলারশিপ স্কিম ২০২৫-২০২৬।
☑️এই স্কলারশিপে কারা আবেদন করতে পারবে?
মেধাবী এবং আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের পড়ুয়ারাই এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
এই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য অবশ্যই ছাত্র ছাত্রীদের ৫০% থেকে ৬০% মধ্যে নম্বর পেয়ে থাকতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষা সংসদের সহায়তা প্রাপ্ত স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে পড়াশোনা করতে হবে।
✔ নবান্ন স্কলারশিপ এ কত টাকা পাওয়া যায়?
যেহেতু উচ্চশিক্ষার জন্য এই স্কলারশিপ দেওয়া হয় তাই দশম শ্রেণির পর থেকে এই স্কলারশিপ পাবেন পড়ুয়ারা। এককালীন ১০,০০০ টাকা বৃত্তি হিসেবে ছাত্র ছাত্রীদের দেওয়া হয়।
✔️আবেদন করার পদ্ধতি ও কী কী ডকুমেন্টের প্রয়োজন জেনে নাও?
এই স্কলারশিপে ছাত্র ছাত্রীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সময় যে যে তথ্য লাগবে নিচে দেওয়া হল:
মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষার মার্কশিট অর্থাৎ সর্বশেষ বোর্ড, কলেজ, কাউন্সিল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার মার্কশিট।
পারিবারিক আয়ের শংসাপত্র (Income Certificate) গ্রামীণ এলাকার ক্ষেত্রে জয়েন্ট বিডিও/বিডিও, মিউনিসিপ্যালিটি এলাকার ক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ অফিসার, কর্পোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনার / গ্রুপ-এ গেজেটেড অফিসার দ্বারা প্রদত্ত হতে হবে।
বয়সের প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ড / ভোটার কার্ড / রেশন কার্ড।
ব্যাঙ্ক আ্যাকাউন্ট নম্বর এবং IFSC কোড সহ ব্যাঙ্কের পাশ বইয়ের স্ক্যান কপি।
☑️ কিভাবে আবেদন করবেন?
👉 অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
❖ স্কলারশিপের আবেদন জানানো যাবে সরাসরি অনলাইন পোর্টাল মারফত। সেক্ষেত্রে স্কলারশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন।
❖ ওয়েবসাইটে নতুন করে স্কলারশিপের আবেদন ও রিনিউয়াল করার অপশন পাবেন। সংশ্লিষ্ট অপশনে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি ফিল আপ করে, ডকুমেন্টগুলি আপলোড করতে হবে।
❖ সবকটি স্টেপ কমপ্লিট হলে স্কলারশিপটি সাবমিট করবেন। পরবর্তীতে স্কলারশিপের স্ট্যাটাস চেক করে জানতে পারবেন টাকা কবে অ্যাকাউন্টে আসবে।
নবান্ন স্কলারশিপের স্ট্যাটাস চেক কিভাবে করবে?
❖ নবান্ন স্কলারশিপের স্ট্যাটাস চেক করতে হলে www.cmrf.wb.gov.in সাইটে ভিজিট করতে হবে।
❖ সাইটের হোমপেজে ‘Applicant Services’ অপশনের অন্তর্গত ‘Check Application Status’ অপশনে ক্লিক করবেন।
☑️APPLY ONLINE: Click Here
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন