পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় কি কি গাছ দেখা যায় | বন সহায়ক ইন্টারভিউ প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর ক্লাস-৩০
ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে থেকেই এই প্রশ্নগুলো আবশ্যই ভালো করে চোখ বুলিয়ে নাও। প্রশ্নের উত্তরগুলো মুখস্ত করে নাও। কারন এখানে যে সমস্ত প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের প্রশ্ন ইন্টারভিউতে করা হয়।
পুরুলিয়া জেলা-
পুরুলিয়া জেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুর বিভাগে অবস্থিত একটি জেলা। জেলাসদর পুরুলিয়া। এই জেলার পূর্ব সীমান্তে বর্ধমান, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম জেলা; এবং অপর তিন দিক ঝাড়খণ্ড রাজ্য দ্বারা বেষ্টিত।
উদ্ভিদঃ-
পুরুলিয়া জেলার অরণ্য মূলত ক্রান্তীয় অরণ্য। অর্থাৎ যেসব গাছপালা এখানে বেশি চোখে পড়ে সেগুলি হল শাল, আসান, কুসুম, বহেরা, আমলকি, মহুয়া, পলাশ, জাম, শিমূল, শিরিষ, অর্জুন, হরিতকি, নিম, হলুদ, টিক ও বাঁশ ইত্যাদি। এই অরণ্য দেখা যায় মূলত পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশীয় অঞ্চলেই।
বাঁকুড়া জেলা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুর বিভাগের অন্তর্গত পাঁচটি জেলার অন্যতম একটি জেলা। এই জেলার উত্তরে ও পূর্বে বর্ধমান, দক্ষিণে পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ-পূর্ব হুগলি এবং পশ্চিমে পুরুলিয়া জেলা। দামোদর নদ বাঁকুড়া ও বর্ধমান জেলাদুটিকে পৃথক করেছে। শুশুনিয়া ও বিহারীনাথ এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য পাহাড়। দামোদর, দ্বারকেশ্বর, কংসাবতী ও শিলাই এই জেলার প্রধান নদনদী।
মূলত শুষ্ক ক্রান্তীয় পর্ণমোচী অরণ্য বা শালবন বেশি দেখা যায়। এছাড়া পিয়াশাল, সেগুন, বহেড়া, পলাশ, কুসুম, মহুয়া, পিপুয়া, বাবলা, আম, কাঁঠাল, পারাষি প্রভৃতি গাছও দেখা যায়।
বীরভূম জেলা-
বীরভূম জেলা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি প্রশাসনিক একক। বীরভূমকে বলা হয় "রাঙামাটির দেশ"। এই জেলার সদর দফতর সিউড়ি শহরে অবস্থিত। বোলপুর, রামপুরহাট ও সাঁইথিয়া এই জেলার অপর তিনটি প্রধান শহর।
উদ্ভিদ ও প্রাণী-
বীরভূম জেলার পূর্বাংশ পশ্চিমবঙ্গের ধান-উৎপাদক অঞ্চলের অন্তর্গত। তাই এই অঞ্চলের উদ্ভিদ প্রকৃতি বাংলার ধান-উৎপাদক অঞ্চলের উদ্ভিদ প্রকৃতির মতোই। অ্যাপোনোগেটন, আল্ট্রিকুলেরিয়া, ড্রসেরা, ফিলকক্সিয়া, স্ক্রোফালারিয়াসি বা সমজাতীয় জলজ অথবা পালাস্ট্রিন প্রজাতির উদ্ভিজ্জ এখানে চোখে পড়ে। পশ্চিমের শুষ্ক অংশে দেখা যায় ওয়েন্ডল্যান্ডিয়া, কনভলভেলাসি, স্ট্রিপা, ট্র্যাগাস, স্পেরম্যাকোসি, জিজিফাস, ক্যাপারিস এবং ল্যাটেরাইট মৃত্তিকায় জাত অন্যান্য উদ্ভিজ্জ। আম, তাল ও বাঁশ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। অন্যান্য গাছের মধ্যে কাঁঠাল, অর্জুন, শাল, পেয়ারা, কেন্দ ও মহুয়া গাছ চোখে পড়ে। বীরভূমে পার্বত্য ও সমতলীয় উভয়প্রকার পাখিই দেখা যায়: তিতির, পায়রা, সবুজ পায়রা, জলকুক্কুট, দোয়েল, ফিঙে, বাজ, কোকিল, তোতা ইত্যাদি এবং নানা পরিযায়ী পাখি দেখা যায়।
আলিপুরদুয়ার জেলা-
আলিপুরদুয়ার জেলা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি বিভাগের পাঁচটি জেলার অন্যতম। ২০১৪ সালের ২৫ জুন এই জেলা গঠিত হয়। এই জেলায় ভারতের দুটি জাতীয় উদ্যান অবস্থিত। এগুলি হল: বক্সা জাতীয় উদ্যান ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান।
দর্শনীয় স্থানঃ-
বক্সা জাতীয় উদ্যান- আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা পাহাড় অঞ্চলে বক্সা জাতীয় উদ্যান অবস্থিত। এই উদ্যানের আয়তন ৭৬০ বর্গকিলোমিটার। এখানে একটি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এই উদ্যানে বাঘ, সিভেট ও রেড জঙ্গল ফাউল দেখা যায়।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান- পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের আয়তন ১৪১ বর্গকিলোমিটার। এই উদ্যানটি তোর্সা নদীর তীরে অবস্থিত একটি নদীকেন্দ্রিক বনাঞ্চলময় সুবিস্তীর্ণ তৃণভূমি। এখানকার জীবজন্তুর মধ্যে অবলুপ্তপ্রায় একশৃঙ্গ গণ্ডার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য
আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট- https://www.examdisha.in/
এই লিংকে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করোঃ CLICK HERE
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন